Introduction
⭕ ঘি সাধারণত তিনটে পাকের হয়।
১. হালকা পাক।
২. মাঝারি পাক।
৩. কড়া পাক।
এর মধ্যে কড়া পাক হলে একটা হালকা পোড়া গন্ধ লাগে। যদিও সেটা কোনো সমস্যাই নয়। সেক্ষেত্রে পুরো বোতল ঘেঁটে ফ্রিজে রাখতে পারেন। তবে এই ঘি'টা আবার বেশিদিন টেকে।
ঘি গঠনের দিকে তিনরকম আসে—:
১. তরল
২. স্মুথ/জমাট বাঁধা
৩. দানাদার
এগুলো কোনোটাই যারা বানান তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আর গঠন, রঙ নির্ভর করে পাক, আবহাওয়ার উপর।
আপনি কোন পাক/কেমন গঠনের ঘি পাবেন, সেটা আমি আগে থেকে বলতে পারব না। কারণ ঘি অর্ডারের পর বানানো হয়। তেমনই আবার এখন যে ধরনের ঘি পাবেন, হয়তো পরে আবার অর্ডার করলে একদম আলাদা গঠনের ঘি পাবেন!
তবে ঘি পাবেন ১০০% খাঁটি।
ঘি খাওয়ার আগে পুরো বোতল ঘেঁটে নেবেন, না হলে শুধু উপরের তেলটা তেমন স্বাদ-গন্ধ দেবে না। মাঝেমধ্যে রোদ্দুরে দেবেন। চাইলে ফ্রিজে রাখবেন।
⭕ সুন্দরবনের জঙ্গলের চাকের মধু বাজারজাত সব মধুর থেকেই আলাদা হয়। এ ব্যাপারে বলতে গেলে প্রতিটা ফুলের মধুই তো আলাদা হয়। সুন্দরবনের জঙ্গলের চাকের মধুতে জলীয় বাষ্প থাকায় ফেনা হয়, তাই বাটিতে বসিয়ে খুলুন, থিতিয়ে যেতে দিন, দরকারে ফ্যানের তলায় বসিয়ে রাখুন। ফেনা ফেলবেন না, ওটা মধুর রঙে এসে যাবে থিতিয়ে গেলে। এই মধুতে ফুলের তারতম্যে কেওড়া ফুলের মধু মিশে গেলে, একটা টকশি ভাব আসতে পারে। একটা ঝাঁজ থাকে, হালকা মদো গন্ধ থাকে।
মধু কোনোভাবেই ফ্রিজে রাখবেন না।